সুস্থ থাকুক আমাদের হৃৎপিণ্ড

বর্তমানে করোনাভাইরাসের জন্য সারা পৃথিবীর মানুষ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। দুঃখ, কষ্ট, দুশ্চিন্তা আমাদের হৃৎপিণ্ডে ও মনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই সুস্থ থাকতে হৃৎপিণ্ড ও মন ভালো রাখতে হবে। হৃৎপিণ্ড আমাদের দেহের ভীষণ জরুরি একটি অঙ্গ। আমাদের সারা শরীরে রক্ত সরবরাহ করে হৃৎপিণ্ড। আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি, তখনো কাজ করতে থাকে। মায়ের পেটে থাকাকালীন সময় থেকেই আমাদের হৃৎপিণ্ড তৈরি হওয়া শুরু হয়। বাঁ পাশের বগলের গোড়া থেকে তিন বা চার ইঞ্চি দূরে আমাদের হৃৎপিণ্ডের অবস্থান। হৃৎপিণ্ডের কাজ অনেকটা পানির পাম্পের মতো। পানির পাম্প বিশাল একটা দালানের নিচে থেকে সবচেয়ে ওপরের অংশে পানি সরবরাহ করে। আমাদের দেহে হৃৎপিণ্ড নামের জরুরি অঙ্গটি ঠিক সেই কাজটিই করে। পায়ের আঙুল থেকে মাথা পর্যন্ত রক্ত পৌঁছে দেয়। পানির পাইপলাইনে পানির ময়লা জমলে পানি সঠিকভাবে চলাচল করতে পারে না। ঠিক তেমনি আমাদের শরীরের শিরা–উপশিরায় ময়লা জমলে রক্ত সঠিকভাবে চলতে পারে না। রক্তের ময়লা বলতে রক্তের মধ্যে জমে যাওয়া চর্বিকে বোঝায়। রক্তনালিতে জমে থাকা চর্বি তৈরি হয় দেহের তুলনায় অধিক পরিমাণে চর্বিজাতীয় খাবার, মাদক দ্রব্য, ধূমপান থেকে। বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে হৃৎপিণ্ডের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয়। তখন হৃৎপিণ্ড সারা দেহে সঠিকভাবে রক্ত সরবরাহ করতে পারে না। পরিণামে তৈরি হয় হৃৎপিণ্ডের নানাবিধ অসুখ, যা কখনোই কাম্য নয়।

হৃৎপিণ্ডের অসুখের জন্য দায়ী বিষয়গুলো হলো:
১. অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও অক্লান্ত পরিশ্রম।
২. ভয়ানক দুশ্চিন্তা, হতাশা।
৩. বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী ওজন বেশি।
৪. দীর্ঘ বছর সঠিকভাবে ঘুমের অভাব।
৫. কোনো ওষুধের দীর্ঘ বছরের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
৬. অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ।
৭. কিডনির জটিল অসুখ।
৮. মাদকদ্রব্য সেবন ও অতিরিক্ত ধূমপান।
৯. পারিবারিক ইতিহাস অর্থাৎ রক্তের আত্মীয়স্বজনদের হৃদ্রোগ থাকলে, আপনার হৃদ্রোগ হতে পারে। যদি আপনি সঠিকভাবে নিজের যত্ন না নেন।
১০. কোনো জটিল রোগের জন্যও হৃৎপিণ্ডের অসুখ হতে পারে।
১১. হৃৎপিণ্ডের অপারেশন বা কোনো অসুখের পর চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে না চলা।

হৃৎপিণ্ড ভালো রাখার জন্য আমাদের করণীয়:
১. বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
২. অতিরিক্ত মিষ্টি ও চর্বিজাতীয় খাবার, মাদকদ্রব্য, ধূমপান পরিহার করতে হবে।
৩. ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
৪. মানসিক চাপ কমাতে নিয়মিত নিজেকে খুশি রাখা উচিত।
৫. মেডিটেশন মানসিক প্রশান্তি দেয়। হৃৎপিণ্ড ভালো রাখার জন্য মানসিক প্রশান্তি ভীষণ জরুরি।
৬. পারিবারিক ইতিহাসে কারও হৃৎপিণ্ডের অসুখ থাকলে আগে থেকেই সচেতন হোন।
৭. হার্টের অসুখ থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিয়মিত চেকআপ করানো ভীষণ জরুরি।
৮. প্রতিবছর পুরো দেহের চেকআপ করান। আমাদের দেহ বিশাল এক কারখানা। একটা মেশিন দুর্বল হলে আশপাশের মেশিনে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
৯. অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খাবেন। নিয়মিত দুই লিটার পানি ভীষণ জরুরি।
১০. সুযোগ হলেই হাঁটবেন। করোনাভাইরাসের জন্য লকডাউনে থেকে ঘরের কাজগুলো নিয়মিত করার চেষ্টা করবেন (ঘর পরিষ্কার করা, কাপড় ধোয়া)।
১১. সঠিক সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন।
১২. সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠার চেষ্টা হার্টের জন্য ভালো। তবে হৃদ্রোগ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জীবন যাপন করবেন।
১৩. হতাশা দূর করতে নিজেকে সৃষ্টিশীলতা ও মানবতার কল্যাণে নিয়োজিত রাখবেন। ভালো কাজ আমাদেরকে দেয় আত্মতৃপ্তি। মন ভালো থাকলে হার্ট ভালো থাকবে। আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি, তখনো আমাদের হৃৎস্পন্দন সচল থাকে। আমাদের সবার উচিত হার্ট ভালো রাখার উপায়গুলো মেনে চলা এবং অন্যদের সচেতন করা।

জরুরি অঙ্গ কিডনি

কিডনি দেহের ভীষণ জরুরি অঙ্গ। এই অঙ্গ সংখ্যাতে দুটি। পেটের পেছনে, কোমড়ের দিকে, দুই পাশে (বাঁ ও ডান) রয়েছে দুটি কিডনি। লম্বায় প্রায় ৪ ইঞ্চি এই অঙ্গটি দেখতে কমলালেবুর কোয়ার (বড় কমলালেবুর কোয়া) মতো। একজন পুরুষ মানুষের কিডনির থেকে, একজন মহিলার কিডনির ওজন তুলনামূলকভাবে কম।

এই অঙ্গদ্বয়ের প্রধান কাজ হলো:
১) রক্তকে পরিষ্কার করা। অর্থাৎ রক্তের রোগজীবাণু ও দেহের ক্ষতিকর তরল পদার্থকে মূত্রের সাহায্যে দেহের বাইরে বের করে দেওয়া।
২) মূত্র তৈরি করা কিডনির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
৩) রক্তের রোগজীবাণুকে রক্ত থেকে ছেঁকে মূত্রের মাধ্যমে আমাদের শরীরের বাইরে পাঠিয়ে দেয়। তাই কিডনিকে দেহের ছাঁকনি বা ছাঁকন যন্ত্রও বলা হয়।
৪) কিডনিকে বাংলায় বৃক্ক বলে। কিডনি দেহের তরল পদার্থের সাম্যাবস্থা বজায় রাখে।
৫) রক্তে ক্ষার ও লবণের সমতা বজায় রাখে।
৬) মানুষ ঘুমিয়ে থাকলেও কিডনি কাজ করতে থাকে। কিডনি প্রতিদিন একজন মানুষের গড়ে প্রায় এক থেকে দুই লিটার মূত্র তৈরি করে। প্রতিদিন তাই দেড় থেকে দুই লিটার পানি পান করা দরকার।
পানি ঠিকমতো পান করলে কিডনি সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারবে। ফলে দেহের রোগজীবাণু ঘাম ও মূত্রের সাহায্যে শরীরের বাইরে বের হবে।

কিডনির যত্নে আমাদের করণীয়:
১) বছরে অন্তত একবার পুরো দেহের পরীক্ষা করান। এতে লুকানো অসুখগুলো ধরা পড়বে।
২) অবশ্যই ওজন, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
৩) যেকোনো প্রকার মাদকদ্রব্য বর্জনীয়। মাদকদ্রব্য দেহের প্রতিটি অঙ্গের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
৪) কিডনি ‘রেনিন’ নামের এক ধরনের হরমোন তৈরি করে। এই হরমোন রক্তচাপ (ব্লাডপ্রেশার) নিয়ন্ত্রণ করে। মাদক গ্রহণকারীদের ‘রেনিন’ ঠিকভাবে কাজ করে না।
৫) চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত কোনো ওষুধ দীর্ঘদিন খাবেন না।
৬) একবার জন্ডিস যাদের হয়েছে তাঁরা কিডনির প্রতি আরও মনোযোগী হবেন।
৭) কিডনিতে ইনফেকশনের সমস্যায় ভুগছেন বা কিডনিতে ডায়ালাইসিস চলছে, এমন ব্যক্তিরা চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত অতিরিক্ত পানি ও কোনো ওষুধ খাবেন না।
৮) কিডনি ঠিকভাবে কাজ করতে না পারলে, দেহের দূষিত তরলগুলো সঠিকভাবে দেহ থেকে বের হতে পারে না। তখন দূষিত পদার্থগুলো দেহে জমতে থাকে। বছরের পর বছর দেহের দূষিত পদার্থগুলো কিডনিতে জমে পাথর তৈরি করে। তাই নিয়মিত ২ লিটার পানি পান করবেন।
৯) সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এসব ওষুধ খাবেন না।
১০) কোমল পানীয় ও ফাস্ট ফুড অতিরিক্ত মাত্রায় কখনোই উচিত নয়। এ ধরনের খাবার কিডনির জন্য উপকারী নয়।

হার না মানা নারী জে কে রাওলিং

কিছু মানুষ, যাঁরা জীবনযুদ্ধে কখনোই পিছপা হন না। সবটুকু মনোবল নিয়ে জীবনযুদ্ধে জয়ী হন। যে মানুষগুলোর সংগ্রাম হয়ে ওঠে আমাদের জন্য উদাহরণ। ইতিহাসের পৃষ্ঠায় এমনই এক জীবন্ত কিংবদন্তি লেখক জে কে রাওলিং।

তাঁর লেখা হ্যারি পটার সিরিজের ওপর তৈরি হয়েছে ব্লকবাস্টার সিনেমা। ২০০৮ সালে তিনি হয়েছেন যুগ্ম নারী ধনী। ২০১০ সালে ব্রিটেনের সবচেয়ে প্রভাবশালী নারী হিসেবে নির্বাচিত হন। পুরো নাম জোয়ানি ক্যাথলিন রাওলিং। তিনি ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক। জন্ম ১৯৬৫ সালের ৩১ জুলাই। তিনি একাধারে লেখক, সিনেমা ও টিভির প্রযোজক। চরম হতাশা, পারিবারিক ব্যর্থতা সত্ত্বেও জয়ী হওয়া এই লেখকের মতে সফলতার কারণগুলো হলো:

১. ধৈর্য হারাতে নেই
হ্যারি পটার প্রকাশিত হওয়ার আগে মোট ১২ বার বাতিল হয়ে যায়। প্রকাশকেরা হ্যারি পটার-এর পাণ্ডুলিপি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু ধৈর্য হারাননি তিনি। ১২ বার ব্যর্থ হওয়ার পরও তিনি আশা ছাড়েননি। হ্যারি পটার ছাপা হওয়ার পর তা পৃথিবীর ৭০টা ভাষায় প্রকাশিত হয়। জে কে রাওলিংয়ের হ্যারি পটার ও ডেথলি হ্যালোজ এক দিনে ১১ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়। অর্থাৎ ১ সেকেন্ডে বিক্রয় হয় ২০ কপি। হ্যারি পটার সিরিজ লেখার সময় প্রথম স্বামীর সঙ্গে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তাঁর চাকরি চলে যায়। থাকার জায়গা ছিল না। এই অবস্থান থেকে তিনি তাঁর লেখা চালিয়ে গেছেন। কখনোই ধৈর্য হারাননি। তাঁর মতে, নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য বাধাবিপত্তি যতই আসুক, ধৈর্য থাকতে হবে পাহাড়সম।

২. হতাশ হলে চলবে না
পারিবারিক দুঃখকষ্ট থাকবেই। চাকরি চলে যাওয়ার পর তাঁর ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে সীমাহীন বিপদে পড়েন। চরম মানসিক ও অর্থনৈতিক কষ্টে দিন পার করতে হয়। এ ধরনের পারিবারিক দুঃখকষ্টগুলোর মধ্যে থেকেও তিনি নিয়মিত লেখালেখি করেছেন। কখনোই লেখা ছেড়ে দেননি।

৩. ব্যর্থতা জীবনের উন্নতির সোপান
জে কে রাওলিংয়ের মতে, ব্যর্থতা জীবনে এগিয়ে যাওয়ার প্রধান অনুপ্রেরণা। নামীদামি প্রতিষ্ঠানগুলো তাঁর বই ছাপতে চায়নি। ১৯৯৬ সালে তাঁর হ্যারি পটার প্রকাশিত হয় ছোট একটি প্রকাশনা থেকে। ছোট এই প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান থেকে বইটি প্রকাশিত হওয়ার পরপরই হ্যারি পটার হয়ে ওঠে ইতিহাস।

৪. দৃঢ়তা একধরনের মেধা
জে কে রাওলিংয়ের মতে, দৃঢ়তা একধরনের মেধা। যেকোনো কাজে সফল হওয়ার জন্য নিরবচ্ছিন্নতা থাকতে হবে। তাঁর মতে, শুধু প্রখর মেধাশক্তি থাকলে চলবে না। জয়লাভের জন্য নিরবচ্ছিন্ন একাগ্রতা থাকা প্রয়োজন।

৫. নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে
নিজের ওপর অটুট বিশ্বাস না থাকলে কোনো কাজই সম্ভব নয়। জে কে রাওলিংয়ের মতে, ‘আপনার মেধা সৃজনশীলতার প্রতি অটুট বিশ্বাস না থাকলে আপনাকে অন্যরা বিশ্বাস করবে না। নিজের ওপর প্রবল আস্থা থাকতে হবে। আপনাকে নিজের ওপর প্রবল আস্থা রাখতে হবে যে আপনি পারবেন।’

৬. দূরদর্শী হতে হবে
হেঁয়ালিপনায় কাজ করলে চলবে না। আপনার ইচ্ছাশক্তি, পরিশ্রম করার শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আপনাকে জয়ী হতে হবে। সফলতা মানুষের ভাগ্যে তখনই জুটবে, যখন আপনি অক্লান্ত পরিশ্রম করবেন। যেকোনো ধরনের মানসিক কষ্টকে তিনি জয়ী হওয়ার হাতিয়ার বানানোর উপদেশ দিয়েছেন।

১২ বার ব্যর্থ হওয়ার পর শেষবারের মতো তাঁর বই ছাপতে দেন ব্লুমস বেরি নামের একটি প্রকাশনাকে। সেই প্রকাশনার প্রধানের আট বছরের মেয়ে হ্যারি পটার বইটার প্রথম অংশ ছাপা হওয়ার আগেই পড়ে ফেলে এবং বইটা খুব পছন্দ করে। মেয়ের ভালো লেগেছে দেখে প্রকাশক বই ছেপেছিলেন। জে কে রাওলিং জানতেন এবং মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন, তিনি ঠিকই সফলতা অর্জন করতে পারবেন। তাঁর লেখা মানুষ মূল্যায়ন করবেই। তিনি সবাইকে উপদেশ দিয়েছেন, জয়ী হওয়ার জন্য পরিশ্রম অব্যাহত রাখতে হবে। ১৯৯৩ সালে চাকরিহীন হয়ে, প্রথম স্বামীর কাছ থেকে বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার পর অর্থনৈতিক ও মানসিক কষ্টকে দূরে সরানোর জন্য তিনি প্রবল সংগ্রাম করেছেন। কখনোই মনোবল হারাননি। বারবার ব্যর্থ হওয়ার পরও তিনি আশায় বুক বেঁধে পরিশ্রম করেছেন। তিনি সব সময়ই বলেন, ‘ব্যর্থতা হলো জয়ের হাতিয়ার।’

তিনি বলেন, ‘যদি তোমার কোনো স্বপ্ন বা ইচ্ছা থাকে আর সেই জায়গায় তুমি যদি বারবার ব্যর্থ হও, তবে তোমার স্বপ্নটাকে মেরে ফেলো না।
‘তুমি এত বেশি পরিশ্রম করে দেখাও যে তুমি যেন সফল হতে পারো। তোমার জীবন যদি খুব কষ্টের মধ্য দিয়ে যায়, তবু তুমি আশা ছেড়ে দিয়ো না। প্রবল আত্মবিশ্বাস নিয়ে পরিশ্রম করতেই থাকো।’
আপনি কতটুকু বোঝা বইতে পারবেন, কতটা কষ্ট করতে পারবেন, সেই চিন্তাশক্তি আপনাকে করতে হবে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংবাদ সম্মেলনে তিনি একই কথা বারবার বলেন, তাঁর মতে, ব্যর্থতা হলো সাফল্যের সিঁড়ি।