ফারহানা মোবিন এর লেখা “উড়ে যায় মুনিয়া পাখি” “গোলাপি রঙ পেন্সিল”(ভিডিওসহ)
২০২০ এর অমর একুশে গ্রন্থমেলা। লেখক, পাঠক আর বিভিন্ন বয়সের মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এর এই গ্রন্থমেলা।
এইবারের বই মেলায় লেখক ও চিকিৎসক ফারহানা মোবিন এর লেখা শিশুতোষ গল্পের বই “গোলাপি রঙ পেন্সিল” এবং ২০১৪ সালে প্রকাশিত “উড়ে যায় মুনিয়া পাখি”। বইটি পাওয়া যাবে ছোটদের বই প্রকাশনীতে। স্টল নং — ৭৩৯।
ডাঃ ফারহানা মোবিন সাত বছর ঢাকার পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালে স্ত্রী ও প্রসূতি বিভাগের মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পেশায় চিকিৎসক হলেও সামাজিক কাজ কর্ম, লেখালেখি করেন নিয়মিত। চতুর্থ শ্রেণী থেকে লেখা শুরু করেন।
পঞ্চম শ্রেণী থেকে তার লেখা ছাপা শুরু হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে ।তিনি শৈশব থেকেই শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির সাথে জড়িত।
একটানা সাত বছর তিনি ছিলেন দৈনিক প্রথম আলো নিউজ পেপার এর প্রদায়ক লেখক।
নারী ও শিশু উন্নয়ন, সামাজিক সমস্যা, স্বাস্থ্য সচেতনতা,জীবনযাপন, সাহিত্য বিষয়ক লেখেন।
দেশ বিদেশের অগণিত সংবাদপত্র, ম্যাগাজিনে তিনি নিয়মিত লেখেন। তার লেখা স্বাস্থ্য বিষয়ক বই গুলো পাওয়া যাবে, বিদ্যা প্রকাশনী থেকে।
বই গুলো হলো-
১. শরীর স্বাস্থ ও পুষ্টি (২০১২)
২. সবার আগে স্বাস্থ্য (২০১৩)
৩. আসুন সুস্থ থাকি’ (২০১৮)
২০২০ সালে বিদ্যা প্রকাশনা থেকে সামাজিক সমস্যা ও তার প্রতিকার বিষয়ক বই “আমিও মানুষ” প্রকাশিত হয়েছে।
বিদ্যা প্রকাশনার স্টল নং – ২৬৬, ২৬৭, ২৬৮, ২৬৯।
তার লেখা ছোটদের বই গুলো সব বয়সের পাঠকের পড়ার উপযোগী। শিশুতোষ দুইটি বই এর প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেছেন চিত্র শিল্পী বায়েজীদ সোহাগ। প্রকাশক সালমা রেহানা।
বই মেলা শেষ হলেও বইটি পাওয়া যাবে রকমারি ডট কম থেকে। শিশু উন্নয়ন মূলক এই বই দুইটি সহজ সরল ভাষায় লেখা।
ডাঃ ফারহানা মোবিন বিভিন্ন সময়ে টিভি চ্যানেলে স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন।
তিনি মরণোত্তর তাঁর দুই চোখ, হার্ট, লিভার, ফুসফুস, কিডনী ও প্যানক্রিয়াস দান করেছেন। নানাবিধ সামাজিক কাজকর্মের সাথে সংযুক্ত তিনি।
ফারহানা মোবিনের জন্ম ২৭ জুন রাজশাহী শহরে। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। সরকারি পিএন গার্লস হাইস্কুল থেকে এসএসসি ও রাজশাহীর নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন।
ঢাকার শিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। তিনি উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনে এখনো লেখাপড়া করছেন। পাবলিক হেলথ এ গবেষণারত। বারডেম হাসপাতাল থেকে ডায়াবেটিস এবং হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল থেকে হৃদ রোগের উপর সার্টিফিকেট কোর্স সম্পন্ন করেছেন। তার মা ফেরদৌসী বেগম এবং পিতা মরহুম আবদুল মোবিন। অসহায় মানুষের ফ্রী চিকিৎসা, সমাজ সচেতনতা মূলক লেখা, টিভি চ্যানেলে অনুষ্ঠান এবং বহুবিধ সামাজিক কাজের জন্য তিনি অর্জন করেন- বিজেম সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড ২০১৯, উইবিডি সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড ২০১৮, স্বাধীনতা সংসদ আলোকিত নারী সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড ২০১৯।
Leave a Reply
Want to join the discussion?Feel free to contribute!