কাঁচা বুট এর পুষ্টিগুণ- ডাঃ ফারহানা মােবিন
রমজান মাসে ইফতারের সময় জনপ্রিয় খাবার হলাে ছােলা বা বুট। আমাদের দেশে ছােলার ডাল নানাভাবে খাওয়া হয়। কাঁচা, রান্না করে মুড়ির সঙ্গে বা ডাল হিসেবে। বাজারে তেলে ভেজেও বিক্রি হয়। সবচেয়ে বেশি পুষ্টি হলাে কাঁচা | ছােলাতে।
রান্না ছােলাতে তেল দেওয়া থাকে বলে এতে ফ্যাটের পরিমাণ রয়েছে। মােটা ব্যক্তি বা উচ্চ রক্তচাপ আছে যাদের তারা কাঁচা ছােলা খান। তাদের জন্য অতিরিক্ত তেল, মসলা দেওয়া ছােলা হলাে ঝুঁকিপূর্ণ। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলে রান্না ছােলা খেতে পারেন নির্দিষ্ট পরিমাণে। যারা খােসাসহ ছােলা খেতে পারেন না, তাদের জন্য কাঁচা ছােলা যথেষ্ট উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রােটিন বা আমিষ। বুটের খােসাতে আছে ফাইবার। ফাইবার জাতীয় খাবার রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ছােলার প্রােটিন দেহকে করে দৃঢ়, শক্তিশালী, হাড়কে করে মজবুত, রােগ প্রতিরােধক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এর ভূমিকা অপরিহার্য। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম। যা দেহের হৃৎপিণ্ডের গতিকে সচল রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু কিডনির সমস্যা যাদের রয়েছে (ডায়ালাইসিস চলছে, রক্তে ক্রিয়েটিনিন, ইউরিক এসিড বা ইউরিয়ার পরিমাণ বেশি) তারা চিকিৎসক এর পরামর্শ ছাড়া যেকোনাে ধরণের ছােলা খাবেন না। | যেকোনাে ডালে পটাসিয়াম থাকে, যা রক্তে পটাশিয়াম এর পরিমাণ বাড়িয়ে তােলে। হাই ব্লাডপ্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপ | এর রােগীরা সীমিত পরিমাণে ছােলা খাবেন। বাড়ন্ত শিশুদের দাঁত, হাড়, নখ, চুল, ত্বক এর পুষ্টির জন্য কাঁচা বা সিদ্ধ বুট ভীষণ উপকারী। তবে ছােটদের হজম শক্তি বড়দের তুলনায় দূর্বল থাকে। তাই তাদের জন্য সিদ্ধ বুট বেশি উপকারী। গর্ভবতী নারীদের জন্য ছােলা বয়ে আনবে সুফল। মায়ের পেটে থাকাকালীন সময় থেকেই শিশুর গঠনের জন্য আমিষ | অপরিহার্য।
তবে যেসব গর্ভবতী নারী উচ্চ রক্তচাপ, কিডনীর জটিলতা, । | উচ্চ মাএার ইউরিক অ্যাসিড এর সমস্যায় ভুগছেন, তারা চিকিৎসক এর পরামর্শ ছাড়া এফতারে ছােলা খাবেন না পুষ্টির আশায় বেশি ছােলা হিতে বিপরীত হবে। তাই বয়স ও উচ্চতা অধিক ওজন থাকলে ছােলা কম খাওয়া উচিত। করােনা মহামারীর জন্য লকডাউনের এই সময়ে হাঁটাচলার অভাবে যাদের ওজন বেড়ে গেছে, তারা ছােলা পরিহার করাই ভালাে। কাঁচা বা সিদ্ধ বুট এর পরিবর্তে ফল বা সালাদ এর পরিমাণ বেশি হওয়া উচিত। কাঁচা বা সিদ্ধ বুট রােগ প্রতিরােধ শক্তি বৃদ্ধি করে। তবে করােনা ভাইরাস এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, এই ধরনের যুক্তি | এখনাে কোন গবেষণা তে প্রমাণিত হয়নি।
Leave a Reply
Want to join the discussion?Feel free to contribute!